শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জীবনে আর ভোট দিতে পারি কিনা, তাই এবার ছেলের কোলে উঠে কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন তিনি। তার শঙ্কা, এটা তার জীবনের শেষ ভোটও হতে পারে। ওই ভোটটা ইভিএমে দিতে পেরে খুশি তিনি।
২৯ মে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ে নিবার্চনে ভোট দিতে আসেন শতবর্ষী বৃদ্ধা রিজিয়া খাতুন।
তিনি ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ বেপারীর স্ত্রী। ছোট ছেলে মো. আব্দুল লতিফ বেপারীর কোলে উঠে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন রিজিয়া খাতুন।
রিজিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক ভোট দিয়েছি কাগজের মাধ্যমে। শেষ বয়সে এসে মেশিনের মাধ্যমে ভোট দিলাম। অনেক ভালো লাগলো। ভোটের কথা শুধু সবার মুখে শুনতাম, হাঁটতে পারি না, তাই বিছানায় পড়ে থাকি। ভেবেছিলাম ভোট দিতে পারব না। কিন্তু ছোট ছেলে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। ভোট দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জীবনে মেলাবার ভোট দিছি। সব সুমায় ব্যালট-সিলে ভোট মারিছি। কোন সুমায় ভোট বাদ দিইনি। এই বয়েসেও ভোট দিতি পারায় ভালো লেগিছে। নিজের ভোটটা দিতি পারিছি। মেলা বয়স হয়িছে। জানিনে, আর ভোট দিতি পারব কিনা, হয়তো এডাই আমার শেষ ভোট। মরার আগে একখানা ভোট দে গেলাম।’
আব্দুল লতিফ বেপারী বলেন, ‘আমরা তিন ভাই ও দুই বোন। বাবা ১৮/২০ বছর আগে মারা গেছেন। আজ সকালে অনুনয়-বিনয় করে মা বলছিলেন ভোট দেবেন, তাই আজকে মাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। মার বয়স হয়েছে, কতদিন বাঁচেন আল্লাহ জানেন। ভোট দিতে নিয়ে এসেছি।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available