নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুর উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় রাইস মিলের পাশ দিয়ে বাঁশ ঝাড় থাকায় বৈদ্যুতিক লাইনে বিভিন্ন সময় আগুন লেগে যায়। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে বেশ কয়েকবার আগুনের সূত্রপাত হয়।
গ্রামের অধিবাসীদের ঝুকির কথা বিবেচনা করে সেই বাঁশ ঝাড়ের মালিককে বিদ্যুৎ লাইনের নিকটবর্তী বাঁশ কাটতে বলায় উল্টো রাইস মিলের মালিকসহ গ্রামবাসীকে দেখে নেওয়ার হুমকি ও দেখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে।
গ্রামবাসীরা এশিয়ান টিভির অনলাইন প্রতিবেদকে বলেন, বাঁশের ঝাড় ও বৈদ্যুতিক খুঁটি পাশাপাশি থাকায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আর রিমেল বা বড় ধরনের যে কোন দুর্যোগে এ ঝুকি আরও অনেক বেশি গুনে বেড়ে যায়। তাই এর একটা ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
রাইস মিলের মালিক হাসান জানান, আমার বাড়ির সামনে দীর্ঘ দিন ধরেই আমি একটি রাইস মিল করেছি। রাইস মিলের সামনেই বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তিনটি ট্রান্সমিটার রয়েছে। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের লোকজন চলা ফেরা করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাঁশগুলো ট্রান্সমিটারের উপরে হেলে পড়ে, এতে করে যে কোন মুহূর্তে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আমি দীর্ঘ দিন বাঁশ ঝারের মালিককে অনেক বার বলার পরেও তিনি তার প্রতিকার করেননি। এছাড়াও তিনি আমার বাড়ির সামনে একটি ড্রেন দিয়ে বাড়ি যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। বারবার বলার পরও তিনি কর্নপাত না করে উল্টো হুমকি ও দেখে নিতে চেয়েছেন। এটার সুষ্ঠু সমাধান না হলে বড় বিপদে পড়তে হবে।
এ ঘটনায় সুলতানপুর গ্রামের রাইস মিলের মালিক একই গ্রামের আব্দুস সামাদ, আব্দুল খালেক ও আব্দুল ছালেকের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বাঁশ কাটতে বলায় হুমকি দেওয়া ও তাদের দেখে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সামাদসহ অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
বিষয়টি নিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available