রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: ঝালকাঠি সদরের শহরতলীর বিকনা এলাকায় ঝড়ের লাকড়ি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার দায়ের কোপে মাদ্রাসা ছাত্র ভাতিজা নিহত হয়েছেন। নিহতের বাবা ও মা রক্তাক্ত জখমে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। ১ জুন শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোস্তফা নামে একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
হুমায়ুন কবীর বাদল নামে স্থানীয় একজন জানান, ঝড়ে পড়া লাকড়ি নিয়ে বৃহস্পতিবার ৩০ মে তর্ক হয় চাচাতো ভাই আমীর হোসেন ও কবীর হাওলাদারের মধ্যে। তখন আমির হোসেনকে মারধর করলে হাতের আঙ্গুল ভেঙে যায়। ডাক চিৎকারে স্ত্রী মুক্তা বেগম ও ছেলে মাহফুজ (১৯) বের হয়ে পাল্টা আঘাত করলে কবীরের মুখ মন্ডলে জখম হয়। এ নিয়ে কবীর হাওলাদার ও আমীর হোসেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেন। শুক্রবার সকালে সদর থানার এসআই আরেফিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার বিকেলে থানায় উভয়পক্ষকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেন।
এ নিয়ে শনিবার ১ জুন সকালে কবীর হাওলাদার তার বোনজামাই মোস্তফার কাছ থেকে দাও নিয়ে তার ভাই মনির ও সাদ্দামকে সাথে নিয়ে দলবদ্ধভাবে আমীরের ঘরে ঢুকে প্রথমে মাদ্রাসা পড়ুয়া মাহফুজকে পেয়ে বুকে কোপ দেয়। পরে আমীর ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম বের হলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে কবির হাওলাদার।
এ সময় আমীরের প্রতিবন্ধী সাবালিকা কন্যা সামনে গেলে তাকেও তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকেই সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজকে মৃত ঘোষণা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য আমীর হোসেন ও মুক্তা বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আমীর ও মুক্তা বেগম শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক ।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে মোস্তফা নামে একজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available