মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: মাধবদীতে দুই ভাইকে মারধরের অভিযোগে মহিষাশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি কাউছার আহমেদ ও ইউপি সদস্য সমির হাসানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেয়া হয়। এরপর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী।
২ জুন রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগীর নিয়োজিত আইনজীবী ফয়সাল সরকার। তিনি বলেন, মাধবদী থানাধীন মহিষাশুড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মানসুর মিয়া (২৬) বাদী হয়ে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ২ জুন রোববার দুপুরে মামলাটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে গত ২৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছিলেন বাদী।
এ বিষয়ে ২ জুন রোববার সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন বলেন, ‘মহিষাশুড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি কাউছার আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অবগত নই। তবে বিষয়টা আমি তদন্ত সাপেক্ষে জানাবো।’
মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুসাইর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. মানসুর মিয়া (২৬) এর দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারই সৎ ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলেছে। তার সৎ ভাইদের পক্ষ নিয়ে মহিষাশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি কাউছার আহমেদ ও ইউপি সদস্য সমির হাসান তার কার্যালয়ে ডেকে নেয়। এসময় বিচারের নামে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মিলে মো. মানসুর মিয়াকে মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে এসে তার ছোট ভাই অহিদুল্লাহও মারধরের শিকার হন। পরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়া হয় মানসুরকে।
বিচার সালিশে আসা মহিষাশুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘মানসুর মিয়াকে তার বাবা কিছু জমি দিয়ে গেছে। এই নিয়ে তার সৎ ভাইয়েরা চেয়ারম্যানকে দিয়ে পরিষদে ডাকায়। পরে মানসুর মিয়া পরিষদে এলে চেয়ারম্যান একতরফা বিচারের মাধ্যমে জোর করে কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে মানসুর মিয়াকে। এসময় সে স্বাক্ষর না দিলে ইউপি কার্যালয়ে মানসুর মিয়াকে মারধর করা হয়।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা তিনি ব্যস্ত আছেন বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
এদিকে মানসুরের সৎ ভাই মাঈনুদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মানসুরের দেয়া অভিযোগ সত্য নয়। ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিচার হয়েছে ঠিক আছে কিন্তু কোনো মারধর করেনি।’
ভুক্তভোগী মানছুর মিয়া বলেন, ‘আমি বাবাকে দীর্ঘদিন যাবৎ দেখবাল করছি। কিন্তু আমার সৎ ভাইয়েরা বাবাকে কোন সময় দেখাশুনা করেনি। বরং তারা আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে জমি ভোগ করতে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে নির্যাতন করেছে। অত্যাচারের কোনো বিচার পাই না। তাদের পক্ষ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ অন্যরা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। বিচার চেয়ে নরসিংদীর আদালতে মামলা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও নিরাপত্তার হীনতায় ভুগছি।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available