সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ধনতোষ ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে সাদা মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে ১২ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
২৯ মে রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট রাস্তার পূর্ব পাশে আরমান হোটেলের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জুয়েল।
এ ঘটনায় তিনি ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ধনতোষ, এসআই আমিনুল তার সোর্স কামাল ও তিনজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রেঞ্জ ডিআইজি ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর ৪ জুন অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিনের বাড়িতে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ফকিরহাট আরমান হোটেলের সামনে ভুক্তভোগীরা রাস্তা পারাপারের জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় এএসআই ধনতোষের নির্দেশনায় সোর্স কামালসহ তিন কনস্টেবল আমাদের উপর অতর্কিতভাবে লাঠিপেটা করে সাদা মাইক্রোতে তুলে নেয়। বেশকিছু সময় আমাদের গাড়িতে আটকে রাখে এএসআই ধনতোষ অভিভাবকদের ফোন করে টাকা আনতে বলে। টাকা না দিলে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে মাদক মামলায় সারাজীবন জেলে থাকতে হবে বলে হুমকি দেয়। পরে ছাত্রলীগের এক নেতাকে ফোন দিলে ওসি কামাল উদ্দিন এএসআই ধনতোষকে ফোন দিয়ে ছেড়ে দিতে বললে ছাড়ে। তবে এএসআই ধনতোষ ও তার সোর্স কামাল মানিব্যাগে থাকা বার হাজার টাকা ও গলায় রুপার চেইন নিয়ে নেয়। অভিযোগকারীরা এসব ফেরত চাইলে যেকোন সময় ইয়াবা দিয়ে মামলায় চালান করবে বলে হুংকার দিয়েছে সে। তাই, অভিযোগ দেয়ার পর নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন।
তাছাড়া এএসআই ধনতোষ এরই মধ্যে অনেকের ঘরে ঢুকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে মামলায় চালান করেছে বলে নিজেই জাহির করে। এসব বিষয়ে তদন্ত করে অসৎ মাদকসেবী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, কেউ ব্যক্তিগত অপরাধ করলে আমরা দায় নিব না। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বিচার হউক।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামে রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের নাম বলতে অপারগ এক পুলিশ পরিদর্শক বলেন, কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যের জন্য আজ পুলিশের হাজারো অর্জন ধ্বংস হচ্ছে। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটা অভিযোগ তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, মাদক দিয়ে ফাঁসানো জঘন্য অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া এই এএসআই ধনতোষ কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ড থানা হতে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি পেয়ে পুনরায় কিছু সময় পর আবার সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেই বেপরোয়া হয়ে উঠে। আগের বিষয়াবিলর কথা ভেবে তার সচেতন হওয়া দরকার ছিল।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available