নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌর সদরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাই তাল শাঁসের কদর এখন আকাশ চুম্বি। চাহিদার কারণে দাম কিছুটা বেশি হলেও সেই দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী পেশাজীবী মানুষেরা।
৬ জুন বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নাঙ্গলকোট পৌর সদর ও উপজালার শান্তির বাজার, মাহিনী বাজার, বাঙ্গড্ডা বাজারসহ বিভিন্ন হাটবারে মোড়ে মোড়ে বিক্রি করছেন তালের শাঁস। পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
তালের শাঁস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মৌসুমে প্রায় অর্ধ শতাধিক মৌসুমি শ্রমিক তালের শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেক ক্রেতাই তালের শাঁস খাচ্ছেন আবার পরিবারের সদ্যসদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে কচি তালওয়ালা গাছ কিনে, সেখান থেকে তাল সংগ্রহ করেন বিক্রেতারা। তালের সংখ্যা ও আকার ভেদে একটি গাছের তালের দাম ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়। প্রতি পিচ তাল পাইকারি ৮-১০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রি হয় আকার ভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর খুচরা ও পাইকারি মিলে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার তাল শাঁস বিক্রি হয়।
এক ক্রেতা মহিন উদ্দিন বলেন, মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু গত বছরের থেকে এবারে তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি।
এ প্রসঙ্গে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. দেব দাস বলেন, তালের শাঁসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। এ শাঁস খেলে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে। তবে এটা খেতে হবে পরিষ্কার পরিছন্নভাবে, না হলে জন্ডিস ও ডায়েরিয়ার ঝুঁকি থাকবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available