গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে ১৩১ টন চাল, ৬ মেট্রিকটন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার কোনো হদিস মিলছে না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেয়ার পর এই তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক।
জেলা খাদ্য বিভাগসূত্র জানায়, সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসি এলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন। বারবার তাগিদ দিলেও তিনি দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন।
এরপর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেজওয়ানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।
গত ৩ জুন কমিটির সদস্যরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেন। এই রিপোর্টে দেখা যায়, ওই গুদামে রক্ষিত ১৩১ টন চাল, ৬৮ মেট্রিকটন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমাণ খাদ্য শস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে।
এর পরপরই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা। তা না হলে বিধি অনযায়ী ২০ তারিখের মধ্যেই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হবেন। তিনি আরও বলেন, দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দেয়ায় তদন্ত কমিটি সেখানে কাজ করেছেন। তাদের রিপোর্টে এই গরমিল পাওয়া গেছে।’
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) লাইজুর রহমান জানান, ‘এই অভিযোগটি দুদকের তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available