রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী মহানগরীতে নারীর ফাঁদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৪ জন নারীসহ ৮ জন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ। ৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে শাহমখদুম থানার বনলতা আবাসিক সংলগ্ন (কৃষি ব্যাংকের পূর্ব দিকে) এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিরা হলো- মানিক সাধন (৩০), মো. কাউসার (২৩), মো. রহমত (২২), মো. কাউসার আলী (২৩), মো. শাকিল (২৪), মো. সালাউদ্দিন (৩৬), মো. আশিক হাসান (২৩), মোহাম্মদ রতন (২০) । নারীদের মধ্যে রয়েছেন মোছা. সুমি (২৬), মোছা. শম্পা (২০), প্রিয়াঙ্কা খাতুন (২১) ও পপি (৩৪)। তবে এ ঘটনার মূল হোতা মো. রানাসহ পালিয়ে গেছে আরও ৩/৪ জন।
রাজশাহী সাধারণ মানুষের বলছেন- এরা একটা সিন্ডিকেট বাহিনী, যারা কিনা মহানগরীতে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এদের রিমান্ডে নিলে সব অপকর্মের তথ্য পাওয়া যাবে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. এমরান আলী নামের এক যুবক শাহমখদুম থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এমরান আলী রাজশাহী বাগমারা থানার ডাক্তা গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার প্রধান আসামি মো. রানা আহম্মেদ তার বাসায় পারিবারিক অনুষ্ঠান আছে বলে তাদের দাওয়াত দেয়। সে অনুযায়ী বিকেল ৪টার দিকে এমরানের সাথে তার বন্ধু মাহাবুর রহমান (২৭) ও মতিউর রহমান (২০) তার বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে রানা তার স্ত্রীসহ আরো তিনজন মেয়েকে দেখতে পায় তারা। রানা তার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় বলে পরিচয় করিয়ে দেয় তাদের। তার কিছুক্ষণপর ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের একটি দল নিজেদের সাংবাদিক পরিচয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের এক রুমে নিয়ে আটক করে রাখে এবং সেখানে ওই সকল নারীদের তাদের পাশে বসিয়ে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করে।
এ সময় তারা বলেন, এখানে তোরা অসামাজিক কার্যকলাপ করতে এসেছিস। আমাদের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। আর যদি তোরা আমাদের দাবি করা টাকা না দিস, তাহলে তোদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের নিকট ছবি তুলে পাঠিয়ে দিবো। অবশ্যই আমাদের টাকা দিতে হবে।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা তাদের চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। তাদের কাছে থাকা ৩১ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রানাসহ চক্রের ৩/৪ জন সদস্য টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, নারী দিয়ে ব্ল্যাক মেইলের ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে একজন। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available