কুমিল্লা প্রতিনিধি: মেডিকেলে চিকিৎসার সার্টিফিকেটের কারসাজিতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হওয়া কুমিল্লার সাবেক এক পুলিশ সদস্য ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় দিন পার করছেন।
কুমিল্লার দেবিদ্বারের নূরপুর গ্রামের ভুক্তভোগী সাবেক পুলিশ সদস্য শাহজাহান কবির এশিয়ান টিভি অনলাইনকে জানান, অতিরিক্ত জখমের শিকার হওয়ার পরেও তা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা রিপোর্টে উল্লেখ্য নেই৷ মাথায় পাঁচটা সেলাই, চোখে রক্ত জমাট ও মুখ থেতলে গেছে। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্টে লেখা ‘নরমাল আহত’। এতে করে ন্যায্য বিচার পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী। একই সাথে ভুক্তভোগীর মেডিকেল চিকিৎসা সার্টিফিকেট প্রতিপক্ষের সদস্যরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে কৌশলে চিকিৎসকের কাছ নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার নূরপুর এমএ বারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির জের ধরে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় দুপক্ষের মাঝে। গত ১২ এপ্রিল নুরপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন স্কুল সভাপতি হতে না পেরে স্কুল দাতা সদস্য ও সাবেক পুলিশ সদস্য শাহজাহান কবিরে উপর ১৫-২০ জন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়৷ হামলায় মোসলেম উদ্দিনের ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আগাতে মাথায় জখম, মুখ থেতলে যায় ও চোখে রক্ত জমাট হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে আসা গোলাম মোস্তফা ও সফিকুল ইসলামও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিনসহ দশজনকে আসামি করে গত ২৩ এপ্রিল দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভুগী শাহজাহান কবির আরও জানান, সারা জীবন পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে মানুষের সেবায় কাজ করেছি। প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু শয্যা থেকে ফিরে এসেছি। যেখানে মাথায় পাঁচটা সেলাই হয়েছে, মুখ থেঁতলে গেছে, চোখে রক্ত জমাট হয়েছে। সেটা নরমাল আহত হয় কীভাবে? এখন ন্যায় বিচার পাবো কিনা জানি না। মেডিকেল চিকিৎসা সার্টিফিকেট পুনরায় নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবো।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক শেখ মো ফজলে রাব্বীর মুঠোফোন ও খুদে বার্তায় যোগাযোগের চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available