লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বশিকপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করে চলেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য প্রতিষ্ঠানের নকশা অনুযায়ী সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে প্রায় সাড়ে চারশত ফুটেরও বেশি চওড়া ও ছয় ফুট উচ্চতার সীমানা প্রাচীর। তবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে দাতা সদস্য আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারীর ভাতিজা মনছুর পাটোয়ারী বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা। এতে করে অনেকটা আতঙ্কের মাঝে রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি, অনিশ্চয়তার মাঝে পড়েছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ।
স্থানীয়রা বলছেন, সকলের সম্মতিতে নকশায় স্বাক্ষর করে প্রতিষ্ঠানের সীমানা নির্ধারণ করা হলেও এখন আবার তারাই এ কাজে বাধা দিচ্ছেন।
এদিকে, দাতা সদস্য আমিনুল ইসলাম মুন্সি সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর বাজার এলাকায় ১৯৭১ সালে দানবীর, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত হাজী আবুল কালামের হাত ধরেই স্থাপিত হয় এ প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘসময় স্থানীয়দের নানা প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বমহলে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম, নামাজের স্থান, নতুন ভবন, আধুনিক ক্লাসরুম, খেলাধূলার জন্য মাঠ সংস্কারসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হচ্ছে সীমানা প্রাচীর। সীমানা প্রাচীরের পাশের সম্পত্তিগুলো দেখভালো করার জন্য চলাচলের রাস্তা প্রায় ৩ ফুটেরও বেশি থাকলেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়া হচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন, ওই জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের জন্যই দাতা সদস্য আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারী ও তাঁর স্বজনরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে গভনিং বডির কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বেশিরভাগ সময়ই। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষকরা চালিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়তে হয় উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে। তবে বর্তমানে জেলা শিক্ষা অফিসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি দেখভালো করায় খুশি সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন কমিটি না থাকলেও দাতা সদস্য পরিচয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রভাব সৃষ্টি করছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হলেও ব্যক্তির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এ কাজে বাধা দিচ্ছেন কেউ কেউ, দাবি তাদের।
বশিকপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল বাসেত জানান, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার তাঁর নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেন, তাই করবেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু তালেব জানান, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ার বিষয়টি শুনেছেন তিনি। কারো কোনো আপত্তি থাকলে লিখিতভাবে না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজে কেউ বাধা দেয়া সঠিক হবে না বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available