নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর নাজিম উদ্দিন ফকির ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ২ আসামিকে প্রেফতারসহ তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১২ জুন বুধবার দুপুরে সদর থানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্যটি জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমান। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বের রাগ ও ক্ষোভের জেরে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে তাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার বিলভবানীপুর গ্রামের নিহত নাজিম উদ্দীন প্রায় এক বছর আগে নাপিতকে মারপিটের ঘটনায় একটি গ্রাম্য সালিশ দরবার করেছিল এলাকায়। সেই শালিসে ৩০ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেন তিনি। ওই গ্রাম্য শালিসে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষিপ্ত ছিল নাজিমের উপর। তৈরি হয়েছিল শত্রুতা। এছাড়া প্রায় ৬-৭ মাস আগে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আপোষ করেন নিহত নাজিম উদ্দীন। এরই জেরে সোমবার ১০ জুন দিবাগত রাত ১১টার দিকে নাজিম উদ্দীন ফকির বিলভবানীপুর মৎস্যজীবী পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির শালিস শেষে নিজের বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাতনামা আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই নাজিম উদ্দীনের মৃত্যু হয়।
গাজিউর রহমান আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হককে জানালে উনার সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে মঙ্গলবার শহরের দপ্তরীপাড়া এলাকা হতে ২ আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামিরা হলো- বিলভবানীপুর গ্রামের গ্রামের মৃত-আব্দুস সামাদের ছেলে সুজাত আলী (৩২) ও রঘুনাথপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বের শালিসের রাগ ও ক্ষোভের জেরে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে তাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাকু ও ভাঙ্গা হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। আটকদের মঙ্গলবার বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, সেই বিষয়টি নিশ্চিতে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান, সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক, সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল গফুরসহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available