দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি: ফেনীর দাগনভূঞা পৌর শহর হাসপাতাল রোডের বহুতল ভবন ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্তা আবদুল গফুর ভূঞার মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে বুধবার ১২ জুন সকাল ১১টায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনকে প্রধান আসামি করে আরও ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর আগে দাগনভূঞা আমলী আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানা লোকমান হত্যা মামলাটি রেকর্ড করতে আদেশ দেন।
মামলায় জয়নাল আবেদিন মামুন ছাড়াও আমান উল্যাহপুর এলাকার নির্মল সাহার ছেলে দহন সাহা, রুহিনী সাহার ছেলে নির্মল সাহা ও চয়ন সাহা, জগতপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে আইয়ুব আলী, কালা মিয়ার ছেলে ছেরাজুল হক প্রকাশ হক সাব ও ইকবালসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
দাগনভুঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশে মৃত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলাটি তদন্ত করতে থানার (ওসি তদন্ত) রাসেল মিয়াকে দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৯ মে বুধবার হাসপাতাল রোডের পাঁচ তলা ভবন দখল করতে নারকীয় তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞা হামলার শিকার হন বলে স্বজনদের অভিযোগ রয়েছে। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ১ জুন শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার সময় আনুমানিক সাড়ে নয়টার সময় তিনি মারা যান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available