• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৭ই কার্তিক ১৪৩১ বিকাল ০৪:৪৫:৪০ (22-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৭ই কার্তিক ১৪৩১ বিকাল ০৪:৪৫:৪০ (22-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

দেবিদ্বারের ধামতী ইউপি কার্যালয়ে যেতে পারছেন না চেয়ারম্যান মিঠু

১৩ জুন ২০২৪ সকাল ০৭:৫২:৩৭

দেবিদ্বারের ধামতী ইউপি কার্যালয়ে যেতে পারছেন না চেয়ারম্যান মিঠু

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে চরম অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মিঠুকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। আর ভিতরে কোনরকমে যদি প্রবেশ করলেও কোনো কাজ পরিচালনা করতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা ইউপির কাজ বণ্টন করছে। সম্প্রতি টিসিবির কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চালও ভাগাভাগি করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কয়েকজন ওয়ার্ড মেম্বার। এমনই অভিযোগ উঠেছে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তেমন যেতে পারেন না। উনার কাজকর্ম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। টিসিবি কার্ড ও চাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিজের মত করে বণ্টন করেছে। সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর নানা নির্যাতন, হামলা-মারধর চলছেই। উনার জমি দখল ও কলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ভয়ে-আতংকে তিনি এলাকাছাড়া।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু এশিয়ান টিভি অনলাইনকে জানান, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি বিগত সময়ে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চভাবে জনগণের সেবা করতে। জনগণও আমাকে সব কাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর আমি বেশ বিপদে আছি। আমাকে আমার কার্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনো কাজকর্ম আমি করতে পারছি না। পদে পদে বাধা প্রদান করা হচ্ছে আমাকে। এই দুইদিনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়নের কয়েকজন সুবিধাভোগী ওয়ার্ড মেম্বার টিসিবি ও চাল নিজেরাই ভাগাভাগি করে বণ্টন করেছে। আমাকে একবারও জিজ্ঞেসও করেনি। আমি কার্যালয়ে যেতে চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। আমি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তা মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড সাহেবকে এবং পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে  ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. তোফায়েল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমির হোসেন চৌধুরী ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. জামাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান  মিঠু সাহেব অনেকদিন ধরে অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাই ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারেন না। আমরা সবাই মিলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেককেই ১০ কেজি করে চাল না দিয়ে কিছু কম দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে টিসিবি কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আসা চাল দেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ। কিন্তু টিসিবি কার্ড পাইনি। চালও পাইনি। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করছি। চেয়ারম্যান সাহেবও নাই, আর আমরাও চাল পাই না।’

এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘চেয়ারম্যান সাহেবকে কার্যালয়ে আসতে কেউ বাধা দিচ্ছে কি না তা আমি বলতে পারবো না। আর টিসিবি ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল বিতরণ কে ভাগাভাগি করছে, তাও জানি না। কোন জায়গায় সমস্যা তা জানি না। চাল কম দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে  তিনি বলেন, অনেক বস্তায় চাল কম থাকে। তাই অনেককে ২০০/১০০ গ্রাম করে চাল কম দেয়া হয়েছে।’

উক্ত বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান সরকার জানান, ‘ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমরা উনাকে কোন বাধা দেইনি আসতে। আর টিসিবি ও প্রধানমন্ত্রীর চাল ভাগাভাগি ও বিতরণ আমি করিনি। সব মেম্বাররা মিলে করেছে। তারা সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়ার পর আমাকে এসে ২৫০/৩০০ কার্ড দিয়েছে। তারা বলছে, গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দিতে। আমি না করেছি। তারা জোর করে দিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।’

দলীয় অন্তর্কোন্দল নিরসনে কোনো ভূমিকা নিয়েছেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরাই মিঠুকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। অথচ, গত সাংসদ নির্বাচনে সে এমপি সাহেবের (স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনেও সে আনারস প্রতীকের (এমপি আজাদের  ছোট ভাই মামুন) বিপক্ষে কাজ করেছে। এসব কারণে এমপি সাহেবের সাথে তার দূরত্ব রয়েছে। তারপরেও এমপি সাহেব তার বিপক্ষে আজও কোনো কথা বলেনি। সর্বোপরি আমরা তাকে কোনো বাধা দেইনি।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ









ফকিরহাট ভোররাতে গনি মঞ্জিলে চুরি
২২ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৩:২০:১৮