পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: পীরগাছায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৭ বছরের এক শিশুকে পাশবিক যৌন পীড়ন ও জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই নিকটত্তম কাকার বিরুদ্ধে। এই নির্মম বিকৃত ঘটনাটি ১২ জুন বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ৪নং অন্নদনগর ইউনিয়নের পেটভাতা (হিন্দুপাড়া) নামক গ্রামে ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, ভিকটিম শিশু মেয়েটির বাবা মা দুই জনেই কাজের ক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থান করে। গ্রামে দাদা দাদির কাছে থেকে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো শিশুটি। প্রতিদিনের মতো সেদিন স্কুল থেকে বাড়িতে আসে খাওয়ার পর খেলতে যাচ্ছিল। তখন শিশুটিকে বাড়িতে এসে চানাচুর খাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। ওই গ্রামের পাশের বাড়ির খোকার ছেলে নিরোধ চন্দ্র মংলু (৫০)।
পরে ছোট শিশুটিকে ঘরের ঘাটের উপরে জোর করে নিজের যৌন লালসা হাসিল করতে ধর্ষণ করে তার নিজ বাড়ির ভিতরে স্বয়ন কক্ষে। সেই সময় মংলুর বাড়িতে লোকজন ছিল না বলে আমাদের জানান মোংলুর পরিবারের সদস্যরা।
ধর্ষণের সময় ভিকটিম জোরে চিৎকার করলে, রক্তার্ত অবস্থায় ভিকটিমকে দরজা লাগিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায় মংলু। পরে আশপাশের স্থানীয়রা গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমের সংবাদটি পীরগাছা থানা পুলিশকে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হয় ও ভিকটিম কে ওয়ানস্টফ ক্রাইসিস সেন্টারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার এস আই মাহবুব অন্নদনগর ইউনিয়ন বিট অফিসার। ঘটনার বিষয় পীরগাছা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় ও দ্রুত ভিকটিমকে চিকিৎসা ও আলামতের জন্য মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। ভিকটিমের অভিভাবক বাহিরে আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ দায়ের করলে মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মংলুকে আটক করা হয়েছে। ১৩ জুন সকালে আসামিকে আদালতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এস আই মাহাবুব।
পীরগাছাসহ সারাদেশে এ ধরণের শিশুদের উপরে শারীরিক মানসিক ও যৌন পীড়নের ঘটনাগুলো বৃদ্ধির পিছনে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রয়েছে বলে মনে করেন পীরগাছা সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এজাজুর রহমান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available