বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে কাঠ দিয়ে শামুক ও ঝিনুক পুড়িয়ে চুন তৈরি হচ্ছে। চুন তৈরির কারণে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি তীব্র হচ্ছে বায়ু দূষণ। দীর্ঘ বছর ধরে এই বেআইনী কার্যক্রম চলমান থাকলেও দেখার যেন কেউ নাই।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় শামুকের খোলস পুড়িয়ে রাতভর তৈরি করা হয় চুন। আর এ চুন তৈরি করতে প্রতিদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শত শত মণ কাঠ। নির্বিচারে নিধন চলছে গাছ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ব্রম্ভগাতী গ্রামে শম্ভু সূত্রধরের রয়েছে শামুকের খোলস পোড়ানো কারখানা। বিভিন্ন স্থান থেকে শামুকের খোলস সংগ্রহ করে এনে পুড়িয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি হচ্ছে চুন। ২০০৯ সাল থেকে চলছে এ কারখানা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন রাতেই শামুকে খোলস পোড়ানো হয়। যখন বড় ইলেট্রিক ফ্যান দিয়ে চুল্লিতে আগুন দেওয়া হয়, তখন চারদিক ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাতাসের তীব্র গন্ধে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। চোখ জ্বালা-পোড়া করে। শিশু ও বয়স্করা কাশিতে ভোগেন। চুল্লির চারপাশের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকার মানুষের রাতে ঘুমানোই কঠিন হয়ে ওঠে।
কারখানার মালিক শম্ভু সূত্রধর জানান, ‘চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ তাকে শামুক ক্রয় ও চুন তৈরির জন্য ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। এছাড়া আর কোনো কাগজপত্র নাই। দীর্ঘ বছর ধরে চুন প্রস্তুত করেছি কোনো সমস্য হয় নাই। একাধিক বার পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলেও তা পাইনি।’
বাগেরহাট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার জানান, বাগেরহাটে চুন প্রস্তুতের জন্য মোল্লাহাট ও ফকিরহাট দুইটি কারখানার অনুমনি দেওয়া আছে। বাকি কেউ করে থাকলে তা সম্পূর্ণ বেআইনী। কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার কোন অনুমতি নাই। এ ধরনের বেআইনী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রিুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available