মো.তৌহিদুর রহমান তুহিন, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের কিশামত দূর্গাপুর গ্রামে সৈয়দ আলিয়া খাতুন নামে একটি ভূয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করে ৫৮ শতক জমি নিজ নামে রেকর্ড করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের কিশামত দূর্গাপুর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে সৈয়দ ময়নুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে দন্দ্ব চলে আসছে। এ দন্দ্ব চলা অবস্থায় একটি মামলা করেন রাজ্জাক মিয়া। সেটি আদালতে এখনও চলমান রয়েছে। এ মামলা করার পর থেকে আসামিদের হুমকিতে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
১৮ মার্চ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মামলার বাদী রাজ্জাক মিয়া ও তার পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের কিসামত দূর্গাপুর গ্রামের মৃত নজির হোসেনের দুই ছেলে রাজ্জাক মিয়া ও রফিকুল ইসলাম। তারা পৈতৃক সূত্রে জমি প্রাপ্ত হয়ে সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের কিশামত দূর্গাপুর মৌজার জেএল-এর ১৩৬ এসএ খতিয়ানের ৩৪ দাগে ৫৮ শতক জমি দীর্ঘ দিন থেকে ভোগ দখল করে আসছেন।
পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমির ৫৮ শতকের মাঝে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি স্থাপন করে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।
উপজেলার তরফজাহান গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে সৈদয় ময়নুল ইসলাম (৭৫) ওই ৫৮ শতক জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছেন। গত ২১ নভেম্বর দুপুরের দিকে সৈয়দ ময়নুল ইসলামের হুকুমে সংঘবদ্ধ হয়ে আকস্মিকভাবে রাজ্জাক মিয়ার জমিতে হামলা চালায়। এসময় বেধরক মারপিট, ও দখলকৃত জমির উপর নির্মিত দোকান ঘরও ভাঙচুর করে সংঘবদ্ধ এ দলটি।
এ সময় রাজ্জাক মিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম বাধাঁ দিতে গেলে তাকে বেধর মারা হয়। এই হামলার ঘটনায় ফসলি জমি ও দোকানের অন্যান্য প্রায় সোয়া লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান রাজ্জাক মিয়া ।
এ ব্যাপারে রাজ্জাক ও রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধায় সাদুল্লাপুর আমলি আদালতে ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, মামলাটি দ্রুত ও সঠিক ভাবে তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের আওতায় আনা হোক ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available