কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: কিছুদিন ধরে বিকট শব্দে পলেস্তারা খুলে পড়ছে। এতে আদালত পাড়ায় দায়িত্বরত সবাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফলে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আদালত পাড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনে কাজ করছেন।
গত কিছুদিন ধরে কয়েকবার আদালত ভবনের গারদখানা এবং বারান্দার সামনে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এছাড়া পিলার গুলোর বড় অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। তবে এখনো কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, একতলা ভবনটিতে বারান্দা, হাজতখানা, প্রশাসনিক কার্যালয় রয়েছে। ভবনের উত্তর পাশে টিনসেড বিল্ডিং এ কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালতের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে প্রতিদিনই বিকট শব্দে পলেস্তারা খুলে পড়তেছে । এতে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আদালত পাড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সবাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আদালতে আসা বিচার প্রার্থীরা যাতে দুর্ঘটনার শিকার না হন, সে জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে না যাওয়ার জন্য রশি দিয়ে পিলার বেঁধে রাখা হয়েছে।
এদিকে আর কোন ভবন না থাকায় আদালতের কার্যক্রম জরাজীর্ণ পুরোনো ভবনেই চলছে এবং কোনো নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ (৬৩) বলেন, কুতুবদিয়া আদালতের ভবনটি অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আদালত কার্যালয়ের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ছে। এ কারণে কাজ করার সময় আমাদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। ভবনটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত। অথবা এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন একটি ভবন করা প্রয়োজন। যেহেতু কুতুবদিয়া আদালতটি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সাগরের মাঝখানে। পাশের উপজেলায় যেতে সাগর পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। মানুষের যাতায়াতে কষ্টের কোন সীমা থাকে না। তাই অতি দ্রুত একটি নতুন ভবন করা প্রয়োজন।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভবনের কাজ শুরু হয় তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে। এর পর থেকে দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রায়হান বলেন, প্রতিদিন ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কুতুবদিয়ায় আদালত ভবনটি পুরোনো হওয়ায় এটি নাজুক হয়ে পড়েছে। এটি কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলা ও বাংলাদেশের আরও কয়েকটি উপজেলার আদালত নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি প্রজেক্ট নিয়েছেন। এটি কখন কোথায় কাজ শুরু হবে সেটি আইন মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available