স্টাফ রিপোর্টার, সাভার: ঢাকার আশুলিয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুমাইয়া আক্তার নামে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ নামের এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-৪।
২৫ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার সোহাগ মিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ৫টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহত সুমাইয়া আক্তার রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মাসুদ রানার স্ত্রী। তাদের আড়াই বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা ৩ জনেই ওই বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। নিহতের স্বামী মাসুদ রানা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
আটক শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) নাটোর জেলার লালপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি একই বাসায় পাশের রুমেই ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন পোশাক শ্রমিক।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী জানান, সুমাইয়ার মেয়ের কান্না শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন হাতে রক্ত মাখানো অবস্থাতেই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে শহিদুল ইসলাম। রুমে গিয়ে দেখি ওই নারীকে চাকু দিয়ে গলা কেটেছে। আর ওই লোক চাকু নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। পরে আমি বাইরে গিয়ে আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে পুলিশে খবর দেই।
র্যাব জানায়, গত ১ বছর ধরে একই বাসায় পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকার সুবাদে সুমাইয়া আক্তারের সাথে বিদ্যুৎ পরিচিত। পরিচয়ের পর থেকেই সুমাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বিদ্যুৎ। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মঙ্গলবার দুপুরে সুমাইয়ার কক্ষে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি দিয়ে সুমাইয়ার গলায় আঘাত করে। এতে অচেতন হয়ে পড়লে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বিদ্যুৎ। সে প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available