স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘীরপাড় নয়াকান্দী গ্রামের বিলের ধান ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও সিআইডির যৌথ দল।
২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে ওই গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে কঙ্কালটি উদ্ধারের পর মরদেহটি পার্শ্ববর্তী উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের পাতরাইল গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের বলে তার স্বজনেরা শনাক্ত করে।
সরেজমিনে গেলে পুলিশে ও স্থানীয় সূত্রের জানা যায়, কয়েক কৃষক গ্রামের বিলের মধ্যে কৃষি জমিতে কাজ করতে গেলে ধান ক্ষেতে কঙ্কালের কিছু মাথা ও হাড়গোড় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও জেলা সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ধান ক্ষেত থেকে মানুষের একটি কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে মৃত ব্যক্তির ছেলে পরনের পোশাক দেখে মরদেহটি তার পিতার বলে শনাক্ত করে।
মৃতের ছেলে মিজানুর হাওলাদার জানান, প্রায় একমাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী শিবচর উপজেলায় তার এক মামাতো ভাইয়ের মৃতের সংবাদ পেয়ে দেখতে গিয়ে আমার বাবা নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তাকে কোথাও না পেয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি জিডি করা হয়।
শুক্রবার স্থানীয় কয়েক কৃষক ঘাস কাটতে আসলে তারা জমির ধান ক্ষেতের মধ্যে একটি কঙ্কাল দেখতে পায়। খবর পেয়ে কঙ্কালসার মরদেহের পরনের লুঙ্গি ও একটি গামছা দেখে তার ছেলে তার বাবার মরদেহ বলে শনাক্ত করে।
এদিকে মৃতের পরিবারের সদস্যরাও কঙ্কালসার মৃতদেহের পরিধান করা লুঙ্গি দেখে এটি মোতালেব হাওলাদারের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করেন। গত প্রায় একমাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানান তারা। এছাড়া তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ জানান, কালামৃধা ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামের ফসলি মাঠের ভিতর কঙ্কাল পাওয়ার খবর পাই। কঙ্কালটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছিল। সরেজমিনে এসে দেখেছি এটি প্রায় মাসখানেক যাবত পরে ছিল।
তিনি আরও জানান, থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করা হয়। সেই জিডির ভিত্তিতে মরদেহটির পরিহিত পোশাক দেখে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available