লালমনিরহাট প্রতিনিধি: কর্তৃপক্ষের ভূলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ১৬ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম।
৩০ জুন রোববার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া এলাকায় অবস্থিত সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ওই ১৬ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেও পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাননি। তাই তারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এর ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের অবহেলার কারণে তাদের একটি বছর নষ্ট হয়ে গেলো। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য যান, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। এমন আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো সহায়তা বা প্রবেশপত্র পাননি। ফলে ফরম পূরণ এবং প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রে পৌঁছেও পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন ১৬ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল বলেন, সন্তানদের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেলো একটি বছর। তিনিও ন্যায় বিচার দাবি করেন।
চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অনিন্দ্য কুমার রায় বলেন, অনেকেই নাকি পরীক্ষা দিতে পারেননি। বাচ্চাগুলোর একটা বছর জীবন থেকে চলে গেলো। শুনলাম অনেক শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকরা পরীক্ষা না দেয়ায় বাসায় ঢুকতে দিচ্ছেন না।
কালীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, ‘এ বিষয়ে পরীক্ষার পরে ২টার সময় আমাকে জানানো হয়। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক বা কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি নিজ উদ্যোগে জেনেছি যেটা তা হল, ওখানকার কলেজের শিক্ষক সুকুমার রায় এই রেজিস্ট্রেশনের সাথে জড়িত। তাকে ফোন দিয়েছিলাম তিনি ঢাকায় আছেন। তিনি বললেন, ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন অন্য প্রতিষ্ঠানে রেজিস্টারকৃত, যার কারণে বোর্ড তাদেরকে এডমিট কার্ড দেয়নি। বাকি ৪ জনের বিষয়েও তাদের সন্দেহ হয়েছে। ওই শিক্ষক ফিরে আসলে তাকে আমরা শোকজ করবো। তারপর তার কি বক্তব্য তা শুনে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
এবিষয়ে শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার রায়ের নম্বর নিয়ে তার ফোনে কল করলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available