সুমন আহমেদ, মতলব (চাঁদপুর) : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মতলব উত্তর উপজেলায় ২০ বছর পর দেড় একর খাস জমি (পুকুর) উদ্ধার করা হয়েছে। ২২ মার্চ বুধবার সকালে পশ্চিম সুজাতপুর এলাকায় অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদে করে এ জমি উদ্ধার করা হয়।
সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমান খানের অনুমতিক্রমে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি অফিসার মো.জসিম উদ্দিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি পুকুর দখল করে মাছ চাষ করা ব্যবসায়ীকে সেখান থেকে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়।
অভিযানকালে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন সরকার মুকুলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে রেকর্ড জরিপের সময় যাচাই করে দেখা যায়, উপজেলার ৫০নং সুজাতপুর মৌজার ৩৯২ দাগের ১ একর ৪৯ শতাংশ পুকুরটি খাস খতিয়ান। ফলে জরিপকারক পুকুরটি খাস খতিয়ানে অর্ন্তভূক্ত করে। ২০০৭ সালে বিএস খতিয়ানে পুকুরটি প্রিন্ট আকারে বের হয়। এরপর থেকে প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের পুকুর দখল ছেড়ে দিতে নোটিশ দেয়। নোটিশ পেয়ে পুকুরে মালিক দাবি করে পশ্চিম সুজাতপুরের রিপন মিয়াসহ ২০ জন বাদী হয়ে নিন্ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ আদালত সেই মামলাটি খারিজ করে দেয়।
পরে তারা আবার সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগও ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে আগের রায় বলবত রাখে। অবৈধ দখলদারদের বাব বার দখল ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। অবশেষে বুধবার প্রশাসন দখল করে নেয়।
ইসলামাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি অফিসার মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আদালতের রায় ও বিএস ১নং খতিয়ানের ১ একর ৪৯ শতাংশ পুকুরটি সরকারি । সেই কারণেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশক্রমে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড দিয়ে সরকারীভাবে বুঝে নিয়েছি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় ব্যক্তি রিপন মিয়াসহ ২০ জন সরকারি খাস পুকুরটি দীর্ঘ বিশ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। সেখানে তারা লিজ দিতো।
এ বিষয়ে মামলার বাদী রিপন মিয়া বলেন, ক্রয় সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে এই পুকুরে মালিক আমরা। আমাদের নামে দলিল, আরএস ও সিএস আছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available