মেহেরপুর প্রতিনিধি: বিভিন্ন মুভি ও সিরিয়াল দেখে প্রশিক্ষণ নিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। মায়ের কাছে চেয়েছিলেন মুক্তিপণও। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছে দুই বন্ধু আহসান হাবিব ও পলাশ হোসেনকে।
আটকরা হলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে পলাশ হোসেন ও একই গ্রামের মৃত মাসুম আলীর ছেলে আহসান হাবিব।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার দেবীপুর বাজারে পলাশের ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করতেন তার বন্ধু আহসান হাবিব। পলাশের নিজের দোকান থাকলেও হাবিবের দোকান ছিল না। পিতৃহারা হাবিব তার মায়ের কাছে ব্যবসার জন্য টাকা চাইলেও মায়ের সামর্থ্য ছিল না। তাই মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে দুই বন্ধু মিলে অপহরণের নাটক করেন।
পলাশের ওয়েল্ডিং দোকানে বসে টিকটক, মুভি আর সিনেমা দেখে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন অপহরণ নাটকের। পরে সে অনুযায়ী গত ১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় পলাশ তার বন্ধু হাবিবের মায়ের কাছে খবর দেয়, হাবিব অপহরণ হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে হলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
সাজানো নাটকের অংশ হিসেবে হাবিবকে কাপড় দিয়ে বেঁধে টাকা দেওয়ার আকুতির ভিডিও পাঠানো হয় মাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের কাছে। যা দেখে প্রকৃত অপহরণ মনে করে দিশেহারা হয়ে পড়েন হাবিবের মা ও স্বজনরা। পরে অপহরণরর বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃতে পুলিশের একটিদল শুরু করে তদন্ত। ভিডিও বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পলাশ ও হাবিবের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে দেবীপুর বাজারের একটি ঘর থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। ব্যবসার টাকার জন্য মায়ের সাথে এই নাটক করেছে বলে স্বীকার করেন তারা। আটক পলাশ ও হাবিবকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ৩ জুলাই বুধবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তি ছাড়াও ভিডিও বিশ্লেষণে অপহরণ নাটক বোঝা যায়। পরে দুই বন্ধুর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সব কথা স্বীকার করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available