খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গড়াই নদীর দ্বীপচরে মিলেছিলো ভুমিহীনদের নিজস্ব ঠিকানা। কিন্তু সেই চকচকে স্বপ্ন আজ বিলীন হবার পথে। ইতোমধ্যেই গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙনে সত্তর পরিবার হারিয়েছে আশ্রয়। সব হারানোর শঙ্কায় আরো একশ পরিবার। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। আর ভাঙন ঠেকাতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
আতঙ্কে দিন পার করছেন উপজেলার আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। গড়াই নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে চোখে মুখে যেনো ধোঁয়াশা ওসমানপুর ইউনিয়নের দ্বীপচরের ভুমিহীনদের।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহে ভাঙনে নদী গর্ভে গেছে ৩০ বিঘা ফসলি জমি। অসহায় অনেকেই বাধ্য হয়েই অপরিপক্ক ফসলই তুলছেন ঘরে। নদী ভাঙন থেকে বাঁচতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি তাদের।
সত্তরোর্ধ্ব আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জহুরা জানান, ‘আমারতো কুনো আশ্রয় নাই। আশ্রয়ণ ভাঙে গেলি আমার দাড়ানের জাগা নাই তালি আমরা যাবো কোনে।’
ফাতেমা জানান, ‘এমন ভাঙা ভাংতেছে চোকির দলকলবে সব ভাঙে যাচ্ছে। আমারে তো কোনো জাগা নাই সেনে আমরা ওটপো।’
স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জানিয়েছেন দ্রুতই নেওয়া হবে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নদী ভাঙনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মাছুম মুর্শেদ শান্ত বলেন, ইতোমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা হয়েছে। ভাঙন রোধে আগামী সপ্তাহে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারের দেওয়া শেষ আশ্রয়স্থল ও আবাদি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুতই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available