মিনহাজুল ইসলাম মিলন , পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: ঘন সবুজ পাতার ভেতরে ডালপালা ফেটে বের হওয়া বোঁটায় ঝুলছে অসংখ্য রসালো লটকন। কোনো গাছে সবুজ আবার কোনো গাছে কিছুটা হলুদ বর্ণের পাকা লটকন ঝুলতে দেখে যে কারোরই মুগ্ধ হতে হবে। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের একবারপুর মধ্যপাড়া গ্রামের চাষী অভিজিৎ কুমার মন্ডল লটকন বাগানের দৃশ্য এটি।
এ বছর প্রায় ৭০টি লটকনের চারা থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ১০ বছর আগে লটকন গাছ রোপণ ও পরিচর্যায় চার বছরের মাথায় ফলন পেতে শুরু করেন। এ বছর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ফলন পেতে যাচ্ছেন। তার বাগান দেখে আশপাশের এলাকার চাষিরা ইতোমধ্যে লটকনের চাষ শুরু করেছেন।
লটকন চাষী অভিজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, ২০১৪ সালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় এই লটকন চাষ শুরু করেছি। বর্তমানে লটকনের চাষ অনেক ভালো হয়েছে। কম পরিচর্যায় অধিক লাভ হয় লটকন চাষে। আমাদের এলাকায় মানুষ যেভাবে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে আশা করছি, অনেকেই করবে। এ লটকন চাষ করে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও রপ্তানি করা যাবে। সঠিক ভাবে লটকন বাগানের পরিচর্যা ও সার, কীটনাশক প্রয়োগ করলে ভালো ফলন আসে।
তিনি বলেন, আমি প্রথমে এ বাগানে লেবুর গাছ লাগিয়ে লেবু বাগান করেছিলাম। যখন দেখলাম লেবু বিক্রি করে ভলো টাকাও পাই না। তখন আমি লেবু গাছ কেটে কৃষি অফিস থেকে লটকনের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। ১০ বছর আগে ওই জমিতে লটকন গাছ রোপণ করে পরিচর্যা শুরুর চার বছরের মাথায় গাছে ফল আাসে। প্রথম বছর লক্ষাধিক টাকার লটকন উৎপাদন হয়। চলতি বছর দেড় লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রির স্বপ্ন দেখছি। লটকন চাষে আমি লাভবান হচ্ছি।
এবিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদিকুজ্জামান সরকার বলেন, পীরগঞ্জ লটকন চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের আমরা পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লটকন চাষে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। কলমের মাধ্যমে চারা রোপণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে থাকি। লটকন সুস্বাদু ফল হওয়ায় এটি সবাই চাষ করুক এমনটাই চাই।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available