গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন পশ্চিম কলমেশ্বর এলাকার হোমিওপ্যাথিক ডা. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও রোগীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ডাক্তার আতাউর রহমান যিনি ডাক্তার না হয়েও মিরপুর সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ ও বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ লিখে প্রতারণা করছেন পশ্চিম কলমেশ্বর এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন হাসপাতালে চাকরি সুবাদে তিনি হাসপাতাল থেকে ঔষধ এনে এখানে সাধারণ মানুষের সাথে সুকৌশলে প্রতারণা করছেন। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার মদনখালী গ্রামের মৃত আব্দুল হাসনাতের ছেলে কথিত ডা. আতাউর রহমান।
তিনি নিজে ডাক্তার না হয়েও বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন বিশাল চেম্বার ও ফার্মেসি। তার দাবি ফার্মেসিতে রয়েছে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক মানের ঔষধ, যা দিয়ে তিনি সকল ধরনের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। ক্যান্সারের মতো স্পর্শকাতর রোগসহ যেকোনো জটিল রোগের চিকিৎসা করেন তিনি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বিনা অস্ত্রোপাচারে কীভাবে জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা এত সহজে করা সম্ভব এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, হোমিওপ্যাথিক লাইনে সব ধরনের চিকিৎসা করা সম্ভব। তিনি নিজে ডাক্তার না হয়েও তার বাড়ির দেওয়ালে ও ছাদে সাইনবোর্ড ও ব্যানার লিখে রেখেছেন, ইনচার্জ ও বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন বিভাগ, মিরপুর সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে ডা. আতাউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ডাক্তার নই আমি ডাক্তারের কম্পাউন্ডার। আমার স্ত্রী নারায়নগঞ্জ থেকে পাস করা ডক্টর।
একজন ডাক্তারের সহকারী অর্থাৎ কমপাউন্ডার হয়ে রীতিমতো সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে তিনি প্রতিনিয়ত জটিল, কঠিন রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে কি করে সাধারণ মানুষের সাথে এত বড় প্রতারণা করে যাচ্ছেন এই প্রতারক তথাকথিত ডাক্তার। তার এখানে এই ভুয়া চিকিৎসা নিয়ে রোগীগণ তো ভালো হচ্ছে না বরং তাদের রোগের জটিলতা আরও দিন দিন বেড়েই চলেছে।
দেরিতে হলেও মানুষের টনক নড়েছে। তারা এই প্রতারকের হাত থেকে মুক্তি চান। আর যেন একটি মানুষও তার দ্বারা প্রতারিত না হন এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগ যেন দ্রুত অভিযান চালিয়ে এরকম ভুয়া ডাক্তারকে আইনের আওতায় আনেন এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার বাসায় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি ঔষধ মজুদ করে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এ সকল ওষুধের অধিকাংশই তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসেন।
তার ঘরে থাকা বিপুল পরিমাণ ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আমি হাসপাতাল থেকে আনিনি, আমি এগুলো কিনে এনেছি। তবে এগুলো কিনে আনার স্লিপ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available