মোহাম্মদ শফিক, জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার) : কক্সবাজার জেলা রেকর্ড রুমের রেকর্ড কিপার কাজল কান্তি পাল ও নকলকারক আঁখি প্রভা দে’র ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সরকারি অফিসে বসে এভাবেই ঘুষ গ্রহণে সর্বত্র বইছে সমালোচনার ঝড়। যদিও বা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত ওই দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট থাকলেও আজ বিষয়টি প্রক্যাশ্যে এসেছে। এতে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানান যায়, দীর্ঘ ধরে কক্সবাজার জেলা রেকর্ড রুমের রেকর্ড কিপার কাজল কান্তি পাল ও নকলকারক আঁখি প্রভা দে ঘুষ ছাড়া নকল সরবরাহ করেন না। ঘুষ দিলে রেকর্ড রুমের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও ফাঁস করে দেয় তাঁরা। এমন কি আঁখি সকালে অফিসে আসার সময় ভাত বহণকারী যে একটি ব্যাগ নিয়ে আসে, অফিস শেষ করে সন্ধ্যা যাওয়ার সময় সারাদিন ঘুষের ইনকামের টাকাগুলো সে ব্যাগ ভরে নিয়ে যায়। এছাড়া উমেদার নামধারী দালাল চক্র সিন্ডিকেট তৈরি করেছে তাঁরা। এই দালালরা তাদের হয়ে কন্ট্রাক্ট-এ কাজ নিয়ে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এ সিন্ডিকেট। মূলত এই দালালরা তাদের ‘কামাইন্নাফুত’ বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেকর্ড কিপার কাজল কান্তি পাল জানান, উমেদার ছাড়া এ অফিস চলবে না। কারণ ওসব কাগজ সংক্রান্ত বিষয় সে নাকি বুঝে না। আর ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে চলেন।
উমেদার উপর নির্ভর এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের ওখানে বসিয়ে রাখা কতটুকু যুক্তিযুক্ত এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। জেলা প্রশান যেন ওসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শস্তিমূলক ডিপারমেন্টলি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে দাবি জানান স্থানীয় সুশীল সমাজ।
এ বিষয়ে ককবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবু সুফিয়ান জানান, জেলা রেকর্ড রুমের দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আমার নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং রেকর্ড রুম শাখার সব মৌখিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি উমেদার নামধারী কয়েকজন দালালকে মুচ লেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available