• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:০৪:০৪ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:০৪:০৪ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

মোংলায় সাবেক মেয়রের দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে পিবিআই

১৪ জুলাই ২০২৪ বিকাল ০৩:১৫:৫০

মোংলায় সাবেক মেয়রের দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে পিবিআই

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী জুলফিকার আলির বিরুদ্ধে হামলা, আর্থিক ক্ষতি ও চাঁদাবাজির মামলার তদন্তে নেমেছে পিবিআই। গত বছর ঢাকার ব্যবসায়ী এফার রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন।

১০ জুলাই বুধবার এই মামলার তদন্তে মোংলায় এসে জুলফিকার আলির সহযোগী রামপালের বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান তুহিনের তেতুলিয়া এলাকার ট্যাংরামারীর মাছের ঘের থেকে ছিনতাই হওয়া একটি এস্কেভেটর/ভেকু (মাটি কাটা যন্ত্র) উদ্ধার করে।

মামলার বাদি ও পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কলাবাগানের সিআর রোডস্থ মেসার্স এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে মোংলার স্থায়ী বন্দরের আমজাদ বেগ পেট্রোল পাম্প এলাকায় পদ্মা সেতুর জন্য আমদানীকৃত পাথর স্তূপ/সংরক্ষণ করে। পরে ওই পাথর বোঝাই করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৫টি ট্রাক ও ১টি এস্কেভটর/ভেকু মোট ৬টি যানবাহন ব্যবহার করতে থাকে।

একপর্যায়ে মোংলা পোর্ট পৌরসভার তৎকালীন মেয়র জুলফিকার আলির দৃষ্টি পড়ে পাথর বোঝাইয়ের কাজে নিয়োজিত ওই যানবাহনগুলোর ওপর। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে জুলফিকার আলির নেতৃত্বে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী ক্যাডার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাথর স্তূপ/সংরক্ষণ করে রাখার স্থানে চড়াও হয়ে অস্ত্রের মুখে ওই ৬টি যানবাহন জোর করে ছিনিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে ওই যানবাহন ছেড়ে দেবার কথা বলে জুলফিকার আলী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. এরশাদ আলির কাছ থেকে চাঁদা বাবদ ৫ লাখ টাকা আদায় করে।

চাঁদার টাকা নিয়েও পরবর্তীতে জুলফিকার আলী যানবাহনগুলো না ছেড়ে পুনরায় ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ওই কোম্পানি আটক যানবাহনগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য জুলফিকার আলিকে একাধিকবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও তিনি তাতে কোন সাড়া দেননি। এভাবে প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর জুলফিকার আলী সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব দিয়ে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর ঢাকার বিজয় নগরের পানির ট্যাংক এলাকায় মেসার্স এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিকের ছেলে এফার রহমানের সাথে দেখা করেন। এ সময় জুলফিকার আলী এফার রহমানের কাছে আটক যানবাহনগুলো ছাড়া বাবদ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে সেখানে জুলফিকার আলী ও তার সহযোগী বাহাদুরসহ কয়েকজন ক্যাডার ব্যবসায়ী এফার রহমানের উপর চড়াও হয়ে হামলা ও মারধর করে। এক পর্যায়ে এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ওই ব্যবসায়ীকে গুম ও খুন করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

এ ঘটনায় এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিকের ছেলে এফার রহমান বাদি হয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জুলফিকার আলীসহ ৭/৮ জনের নামে গত বছরের ১৭ এপ্রিল একটি মামলা করেন। এ মামলার আর্জিতে বাদি আরো উল্লেখ করেন, জুলফিকার আলী তাদের ৬টি যানবাহন দীর্ঘ কয়েক বছর আটকে রেখে প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন।

আদালত মামলাটির প্রথমে তদন্তের দায়িত্ব দেন পল্টন থানা পুলিশকে। পল্টন থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বাদি আদালতে ওই প্রতিবেদনের নারাজি দিলে আদালত গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পিবিআইকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তের সূত্র ধরে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক এমদাদুল হক মঙ্গলবার ৯ জুলাই সরাসরি মোংলায় আসেন বা বুধবার ১০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে জুলফিকার আলির সহযোগী মোংলার পার্শ্ববর্তী রামপাল থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিনের মৎস্য ঘের থেকে এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের আটকে রাখা ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের এস্কেভেটরটি উদ্ধার করে রামপাল থানা পুলিশের হেফাজতে দেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র (ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ) পরিদর্শক এমদাদুল হক বলেন, মামলাটির তদন্ত একেবারেই প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগির এর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

এদিকে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলির বিরুদ্ধে পিবিআই’র মামলার তদন্তকে কেন্দ্র করে মোংলায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন মামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে না আসলেও মোংলা থানা পুলিশের  কাছে  তদন্ত আসার পর পুরো শহরে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মেয়রের প্রভাব দেখিয়ে তিনি এরকম অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জুলুম ও প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসেম এন্ড সন্সের কাছে বিপুল পরিমাণ শ্রম মজুরি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারে না বলেও অভিযোগ রয়েছে অনেক ব্যবসায়ীদের।

উত্থাপিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, ওই কোম্পানির আমদানি পণ্য খালাসের স্টিভিডর্রিং করা বাবদ আমি তাদের কাছে ১৮ লাখ টাকা পাই। সেই টাকা না দিয়ে উলটো তারা আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করছে। তারা এর আগেও আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন সেটিতেও তারা হেরে যান। তার পরেও তারা আমাকে বিভিন্ন সময় একের পর এক হয়রানি করে যাচ্ছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫