কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় তাসনিভু আক্তার জেমি (২০) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৪ জুলাই শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জেমি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার আনন্দপুর গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা সোনার বাংলার মোড়ের এক প্রবাসী স্ত্রী নাজমা আক্তারের চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় মেস থেকে তাসনিভু আক্তার জেমি নামের এক শিক্ষার্থী শনিবার দিবাগত রাত দুইটা ২৯ মিনিটে তার বাবাকে মুঠো ফোনে কল করে জানায় যে, তাকে কেউ মেরে ফেলছে। এর কিছুক্ষণ পরে জেমি আবারও তার বান্ধবীকে মুঠোফোনে কল করে জানায় তাকে কেউ মেরে ফেলছে।
এ ঘটনা জানতে পেরে মেসে অবস্থানরত অন্য শিক্ষার্থীরা জেমির ঘরের দরজার বাইরে থেকে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে ভিতর থেকে খুলে যায় এবং তারা ভিতরে প্রবেশ করে দেখে জেমির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তে শেষে পুলিশ নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজু মোহন সাহা জানান, নিহত শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছি জেমির পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। এজন্য সে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল।
জেমির পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই সাজু মোহন জানান, নিহত শিক্ষার্থীর উপরি দোষ ছিল। হয়তোবা ডিপ্রেশনের জন্য আত্মহত্যা করতে পারে। কারণ, চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় যে রুমে ঘটনাটি ঘটে, সেখানে কারো পক্ষে বাইরে থেকে আসা বা বের হয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। জানালার গ্রিল ভাঙা ছিল না। মনাতদন্তের শেষে নিহতের মরদেহ তার বাবা জাহিদুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available