বগুড়া প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় ব্যাপক ভাংচুর, মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের বসার স্থানে অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণে সাতমাথা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা পাঁচ সহস্ত্রাধিক ছাত্র শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথাসহ এর আশপাশের এলাকা দখলে রাখে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাতমাথা এলাকায় সমবেত হলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়ার মুখে পিছু হটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় অন্তত ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে এক সাংবাদিক এবং এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির অফিস, জেলা জাসদ কার্যালয়, টাউন ক্লাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তাছাড়াও মুজিব মঞ্চ এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালেও ভাংচুর চালানো হয়। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ভবনসহ আশপাশের ভবনেও তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষতিসাধন করে।
এদিকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সার্কিট হাউসের দিক থেকে এসপি’র নেতৃত্বে পুলিশ টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকলে আন্দোনলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশী অ্যাকশনে ৫ মিনিটের মধ্যে তারা বিভিন্ন সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাতমাথার নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ কোনো ভূমিকা না রাখলেও সাতমাথায় যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available