মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলায় ২৮টি এনজিও সংস্হার শাখা রয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা ও চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
বাধ্য হয়ে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল এমনকি ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে কিস্তি পরিশোধ করেও কুলকিনারা পাচ্ছেন না অনেকে।
সদর উপজেলার সাবিয়া গ্রামের লিপি বেগম জানান, তিনি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। প্রতি সপ্তাহে ১৫শ’ টাকা কিস্তি দিতে হয়। সাম্প্রতিক বন্যায় ও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসাপাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাঁস, মুরগী ও ছাগল বিক্রি করে কিস্তি পরিশোধ করেছেন। এখন শেষ সম্বল ভিটে। এনজিওর লোকেদের চাপে শেষ সম্বল ভিটে বিক্রি ছাড়া আর উপায় দেখছেন না তিনি।
তাই অন্তত ৪ মাসের জন্য ঋণের কিস্তি আদায় স্হগিত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আহবান জানান তিনি।
লিপি বেগমের মতো এমন অবস্থার শিকার আরও অনেকেই। কেউ ঋণ নিয়ে ভ্যান ক্রয় করেছেন, কেউ রিকশা বা সবজি ব্যবসা করছেন। অনেকে হাঁস, মুরগী, গরু-ছাগল পালন করছেন। কিন্তু বন্যা এবং চলমানি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে যেখানে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে, সেখানে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবেন কীভাবে? তাই তারা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে ছালাম জানান, তিনি এনজিও সংস্হাগুলোর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available