রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ১১ দিন ধরে অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। এক কাপড়ে ১১ দিন ধরে ওই তরুণী অনশন করায় শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় মাতুব্বর, জনপ্রতিনিধি, ইউএনও এবং ওসি’র সমন্বয়হীনতার কারণে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার মধ্যরাতে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান ও রৌমারী থানার ওসি গোলাম মর্তুজা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও এখন পর্যন্ত অনশন ঘটনার কোনো সমাধান হয়নি। যতই দিন গড়াচ্ছে অনশনরত ওই শিক্ষার্থী খাদ্যাভাবে ততই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
জানা যায়, দক্ষিণ আলগারচর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে আব্দুল মান্নানের সঙ্গে গত দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সুবাদে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। অপরদিকে প্রেমিক আব্দুল মান্নান প্রেমিকার কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন। পরে ওই প্রেমিকা বিয়ের চাপ দিলে প্রেমিক মান্নান কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং প্রেমিকার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রেমিকা কোনো উপায় না পেয়ে গত ১১ দিন ধরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন।
এ সময় প্রেমিকের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে রক্ষা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলের বাবা ওসমান আলী, মা
মর্জিনাসহ অনেকেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
অন্যদিকে মেয়ের চাচা মনির হোসেন বাদী হয়ে প্রেমিক আব্দুল মান্নানসহ ৭ জনকে আসামি করে রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মাতুব্বরদের মতবিরোধের জেরে কোনোভাবেই এ ঘটনার সমাধান করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরমান আলী জানান, ছেলের বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক বসা হয়েছে। থানা পুলিশও বারবার এসেছে। কিন্তু কোনভাবেই সমাধান করা যাচ্ছে না।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা বলেন, ছেলের পক্ষের লোকজনকে দ্রুত সমাধান করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মাতুব্বরদের সমস্যাটি সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। না হলে মেয়ের পরিবার আইনের আশ্রয় নেবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available