নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২১ জুলাই বিকেলে আব্দুল্লাপুরের কোটবাড়ি রেললাইনের উপর গুলিবিদ্ধ হন আবু বকর সিদ্দিক শিবলু। ২৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঘটনার দিন উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় সংঘর্ষ হচ্ছিল। কিন্তু শিবলু গুলিবিদ্ধ হন দক্ষিণখান থানা এলাকায়। শিবলুর বড় ভাই আবদুল হাকিম বাবলু ফেনী দাগনভূঁঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিনখান ও উত্তরা পূর্ব থানাতেই গিয়েছেন। কিন্তু কোনো থানাতেই মামলা নেয়নি পুলিশ।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চারদিকে সহিংসতা আর কারফিউয়ের মধ্যে টানা কয়েকদিন রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরের বাসায় বন্দি থেকে অস্থির হয়ে উঠেছিল আবু বকর শিবলুর ছোট ছেলে। ছেলের আবদার পূরণ করতে আবু বকর শিবলু ২১ জুলাই বিকেলে ঘুরতে বাসার বাইরে বের হন।
সে সময় বাবা-ছেলে কোটবাড়ি রেললাইনের উপরে বসে গল্প করছিলেন। সেই অবস্থাতেই মাথায় এসে একটা গুলি লাগলে লুটিয়ে পড়েন শিবলু।
পড়াশোনা ও কাজের সুবাদে শিবলু ১২ বছর ধরেই ঢাকায় ছিলেন। চার বছর আগে উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরে বাসা নেন তিনি। আইসিএমএবি’র দুই হাজার মার্কের কোর্সের মধ্যে ১৪০০ মার্ক কমপ্লিট হয়েছিল তার।
শিবলুর বড় ভাই আবদুল হাকিম বাবলু ফেনী দাগনভূঁঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ফেনী থেকে সেদিন রাতেই ঢাকায় ছুটে আসেন বাবলু। চার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় শিবলুকে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই শিবলুর জ্ঞান ছিল না।
অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ২৩ জুলাই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ জুলাই শিবলু সেখানেই মারা যান। আর ২৫ জুলাই রাতে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
আবদুল হাকিম বাবলু জানান, “ঘটনার দিন উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় সংঘর্ষ হচ্ছিল। কিন্তু শিবলু গুলিবিদ্ধ হন দক্ষিণখান থানা এলাকায়। দুই থানাতেই আমরা গিয়েছি। কিন্তু কোনো থানাই মামলা নেয়নি। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ভাইকে দাফন করি।”
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available