স্টাফ রিপোর্টার, সাভার: সাভারে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ প্রেস ক্লাবগুলোতে হামলা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ভিডিও ধারণ করার সময় এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাহিদ হাসান সাকিলকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে তারা।
৪ আগস্ট রোববার বিকেলে সাভার ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবে হামলা চালানো হয়৷বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আশুলিয়া প্রেস ক্লাব ভাংচুর করা হয়। এসময় প্রেস ক্লাবের কিছু মালামাল বের করে সড়কে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে একই এলাকায় অবস্থিত আশুলিয়া থানার দিকে আন্দোলনকারীরা অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাহিদ হাসান সাকিলকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা তাকে আন্দোলনকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
বাইপাইলে আন্দোলনকারীরা সড়কে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এরপরে বাইপাইলের একটি হাসপাতালে ঢিল ছুড়তে থাকে তারা। হাসপাতালের গেইটেও ভাংচুর চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করার চেষ্টা করেন এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান সাকিল। পরে আন্দোলনকারীরা টের পেলে তাকে টানা হেচড়া শুরু করেন। ঘটনা দেখতে পেয়ে আরও কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় জাহিদ হাসান সাকিলের গলায় প্রেস আইডি কার্ড ঝোলানো ছিল তার পরেও আন্দোলনকারীরা তার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাভার থানা রোড এলাকায় সাভার প্রেস ক্লাবে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এসময় সাভার প্রেস ক্লাবের ভেতরে কয়েকজন সাংবাদিক আটকে পড়েন। তাদের মধ্যে দৈনিক আজকের সত্য প্রকাশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার অভি খাইরুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
সাভারের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের স্থাপনা ও সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাভারে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
সাভারের ডিবিসি টিভির সাংবাদিক শফি মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের ফুটেজ নিতে বাধা দেয়া হয়েছে। এমনকি আন্দোলনকারীদের পাশ দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে গেলেও তারা মোবাইলে ভিডিও করা হচ্ছে কিনা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সাভার ও আশুলিয়া দুই প্রেস ক্লাবে ভাংচুর করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণে আমরা আতংকিত।
এ বিষয়ে সাভারের প্রথম আলোর সংবাদকর্মী শামসুজ্জামান শামস বলেন, একজন সংবাদকর্মী নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রকৃত তথ্য তুলে এনে তথ্য প্রমাণের আলোকে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই কাজটি করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই করতে হয়। এখানে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা না করে তথ্য সংগ্রহে বাধা দেয়া হলে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available