রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাঙ্গুনিয়া থানা ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ফটকে তালা ঝুলছে। ভেতরে কোনো কর্মকর্তা কিংবা পুলিশ সদস্য নেই। অভিযোগ, মামলা, জিডিসহ নানা সেবা নিতে গেলে থানায় কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে থানায় পুলিশ না থাকায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের কর্মবিরতির কারণে দুই থানার অধীন বাসিন্দারা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। গত কয়েকদিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বসতঘর, দোকান, অন্যান্য স্থাপনায় অন্তত ৫০ স্থানে ভাংচুর করা হয়। ভুক্তভোগীরা অভিযোগে দিতে গিয়ে থানায় কারো দেখা পাচ্ছেন না।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ইমরান করিম বলেন, ৫ আগস্ট রাতে তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও পুড়ানো হয়। লুটপাট করা হয় জিনিসপত্র। পরদিন ৬ আগস্ট তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে দেখতে পান থানার ফটকে তালা, কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। অভিযোগ না দিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে যান।
৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় যুবক আবদুল মজিদের সাথে প্রতিপক্ষের সাথে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত হয় মজিদ। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মজিদ।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আবদুল মজিদের এক স্বজন আবু তাহের মামলা করতে গিয়ে থানার ফটকে তালা দেখে ফেরত আসেন।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাসান বলেন, ‘থানায় তালা দেয়া, কেউ নেই। আপাতত কর্মস্থলে আমিও নেই।‘
অপরদিকে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় এখনো কেউ যায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে সবাই ফিরবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available