স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা: নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে জেলায় কর্মরত সেনা সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে জমিদখল থেকে শুরু করে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে। এলাকার অনেককে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছেন তিনি।
৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নৈহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আনা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে সেনা সদস্যরা। আমিরুল ইসলামকে জেলা শহরের সাতপাইয়ে সেনাবাহিনীর নেত্রকোণা ক্যাম্পে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান মেজর জিসানুল হায়দার।
মেজর জিসানুল হায়দার বলেন, অভিযান চলাকালে আমিরুলের বাড়িতে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। আমলযোগ্য নানাবিধ অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে আমিরুলের বক্তব্য মিলিয়ে যদি আমলযোগ্য অপরাধী বিবেচিত হয় তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনানুযায়ী আদালতে সোপর্দ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। তিনি জমি দখলসহ নানাভাবে স্থানীয়দের অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছিলেন। নৈহাটিবাজারে অবৈধভাবে একটি গরু বেচা-কেনার হাট চালিয়ে আসছিলেন স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। এই হাটের জন্য প্রতিবছর কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available