• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০১:২০:৫১ (17-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০১:২০:৫১ (17-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

কালাইয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

১২ আগস্ট ২০২৪ সকাল ১১:৩৮:১০

কালাইয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া এক সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় স্থানীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সুধিজনদের নিয়ে এই মানববন্ধন উপজেলার প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই একত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। পাশাপাশি তারা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল কালাই ময়েনউদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গত ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়োগের সময় দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএডের জাল সনদপত্র ব্যবহার করে চাকরি লাভ করেছেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় তার জাল সনদ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। এতে আবারও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

স্থানীয় সুধিজন মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। একজন শিক্ষক যদি জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেন, তাহলে আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দেবেন? আমরা অবিলম্বে তার অপসারণ চাই এবং তার স্থলে একজন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই।

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বকুল বলেন, আমি এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। ইতোপূর্বে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে তেরটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্টে জাল সনদ বিষয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। আশা করি, সেখানেও ন্যায়বিচার পাব।

কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোনোয়ারুল হাসান বলেন, শুনেছি সাইফুল ইসলামের সনদের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। তবে তার সনদের সঠিকতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দলীয় প্রভাবের কারণে তার সনদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।

জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন (ভারপ্রাপ্ত) জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তদন্ত শেষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার মান ধরে রাখতে আমাদের প্রশাসন সর্বদা সতর্ক থাকবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

ধনবাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ০৯:১২:২০


পদ্মায় অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলনের হিড়িক
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:২৮:৫০