বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে এক শ্রেণিকক্ষে পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক যে পাঠ্যকার্যক্রম প্রক্রিয়া তাতে ব্যাঘাত ঘটছে।
১৪ আগস্ট বুধবার সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২০ স্কয়ার ফিটের একটি কক্ষে ৫৭৩ জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছেন। বিদ্যালয়ের একাংশে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ধারাবাহিক এ পাঠদানের ফলে শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। অবসর সময় পার করছেন ওই বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়টিতে মোট ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে প্রতি ঘণ্টায় একজন শিক্ষক ক্লাস নেন। সে সময়টাতে বাকি শিক্ষকরা অবসর পার করেন। একই সাথে এত শিক্ষার্থী থাকায় ক্লাসে হাউমাউ কিচিরমিচির শব্দ শুনা যায়। তাতে তারা পড়াশোনায় মনযোগ দিতে পারে না।
অভিভাবকরা জানান, এক সাথে ৫৭৩ জন শিশুর পাঠদান আমাদের কোমলমতি শিশুদের জন্য বিপজ্জনক। এ থেকে তারা কিছুই শিখতে পারছে না। ঠিকমতো বসতেও পারছে না। এতে শিশুরা কি শিখতে পারবে ?
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বর্ণজিৎ দেব বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ইমারজেন্সি ফান্ড থেকে একটা ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি। তবে তা এখনো কার্যকর হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান ভবনটি ভাঙার আগে কথা দিয়েছিল একটা টিনশেডের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তিনি কথা রক্ষা করেননি। আমরা এর তড়িৎ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল বিদ্যালয়ের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন ভবন সরকারিভাবে নিলামে বিক্রি করা হয়। ফলে জুন মাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available