স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম শাহজাহান কবির সাজুর অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
১৮ আগস্ট রোববার দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভ চলাকালে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিন আহমেদ, আবির হোসেন, মরিয়ম কবির, মাইশা লাবিবা লিয়া, লাবিবা ইবনাত শায়ান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য, তার স্ত্রীকে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও বিদ্যালয়ের জায়গায় বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ করে ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসায় এক দিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে, অপরদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করেছেন এবং নানা ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে শিক্ষকদের জোরপূর্বক ছাত্রদের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছিলেন।
তাই শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কুশপুত্তলিকায় জুতার মালা পরিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শামীমা ইয়াসমিন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জোবায়ের সাঈদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে তাদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেন। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাজুকে অপসারণের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদর দাবির প্রেক্ষিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মজিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরে আাসেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available