ভোলা (সদর) প্রতিনিধি: দেশের চিকিৎসা খাতে সরকার কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে তার হিসেব হয়তোবা সাধারণ মানুষের আলোচনার বাহিরে । সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী নেই এমন ধারণা থেকে সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা নিতে যায় স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ।
ভোলার মরে মরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার । তার মধ্যে এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী গর্ভবতী জননী সোনিয়া আকতার।
১৯ আগস্ট সোমবার বিকেল ৫টায় গর্ভের সন্তান জন্মদান সংক্রান্ত ভর্তি হন এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যেখানে নিয়মিত কমপক্ষে ১ জন চিকিৎসক থাকার কথা, তাও ছিল না। এর মধ্যেই ভুল চিকিৎসা দিতে থাকে ওখানকার নার্সরা। বেশ কিছুক্ষণ পর গর্ভবতী নারীর চোখ ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তার স্বজনরা কিছুটা আন্দাজ করতে পারেন মারা গেছেন সেই নারী।
এ নিয়ে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, কেনো তাদের রোগীকে ভুল চিকিৎসায় মারা হলো তারা সেটার উপযুক্ত বিচার চান। সেই সাথে তারা আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
ঘটনায় জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক ফোনে যোগাযোগ করে ১০টার পর চিকিৎসক আনে ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ । তবে এর মধ্যেই মারা গেছেন গর্ভবতী জননী সোনিয়া। দায় এড়াতে চান ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ, পালিয়ে যান কর্তব্যরত সেই নার্সরাও। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হন জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
জেলার সিভিল সার্জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনে থাকি। আমাদের এখানে এমন ঘটনা খুবই দু:দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available