কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুরাদনগরের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী শাহমোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ফুফাত ভাই সৈয়দ আতিকুল্লাহ প্রিয়া। ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর, সফিউল্ল্যাহকান্দি, সাতমোড়া ও দড়িকান্দির প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত বন্যার্ত মানুষজনের খোঁজখবর নেন এবং প্লাবিত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার আশ্বস্ত করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শাহালম ও বাহাদুরসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার মধ্যরাত থেকে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, দেবীদ্বার, বুড়িচং ও ব্রাহ্মনপাড়াসহ ও সদর সীমান্তবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন প্লাবিত এলাকাগুলোর মানুষ। বহু পরিবার এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন।
সৈয়দ আতিকুল্লাহ প্রিয়া জানান, মুরাদনগর উপজেলার গোমতী পাড়ের তীরবর্তী অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া যারা পানিবন্দি রয়েছেন তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন।
আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা ও জেলা প্রশাসনের সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে সমগ্র কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে মোট ৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সেখানে আশ্রয় নেওয়ার জন্যে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available