বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক: ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হাজারো শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পূর্ণ তালিকা এখনো তৈরি হয়নি। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের গুন্ডাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে অনেক ছাত্রকে হত্যা করেছে। এই শহীদ ছাত্রদের রক্তের বিনিময় ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছি।
২৫ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত নিহত শহীদ আশিকের বাড়িতে পরিবারকে সাথে দেখা করতে গিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মাণের পালা। গণতন্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা এই শহীদদেরকে যেন স্মরণ রাখি যেটা তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে হয়েছে। তরুণরা জীবন দিয়েছে নতুন একটা বাংলাদেশের জন্য। সেই বাংলাদেশের মানুষ যাতে মানুষের মর্যাদা পায়। আমাদের এই তরুণরা যারা প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছেন তারা যাতে জাতীয় বীরের মর্যাদা পায়। তাদের পরিবারের দায়িত্ব যাতে সরকার নেয় শুধু এই সরকার নয় আগত প্রত্যেকটি সরকার যাতে সেই দায়িত্বের জায়গাটাতে থাকে এটা আমরা সব জায়গায় তুলে ধরেছি।
আমরা আশা করি, যে বর্তমান সরকার শহীদদের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করবে তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় সামনে আনবে। তাদের সকল পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে খুবই গুরুত্বের সাথে আলোচনা করছি। আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্মাণে যাতে এই শহীদদের রক্তের প্রশ্ন এবং আমাদের এত আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই অর্জন এটা যাতে কেউ কোনোভাবে নস্যাৎ করতে না পারে সেই জায়গায় আমাদের থাকতে হবে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণত্রন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে গণতন্ত্রের পথে আমরা হাঁটতে না পারলে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি হবে। ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের খুনিদের ও নির্দেশ দাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে যে কোনো মূল্যে। যারা আহত হয়েছে সরকারের উচিত তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এরকম শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকে আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান। ছাত্রদের আন্দোলনে যে জোয়ার তৈরি হয়েছিল সেখানে সেও গিয়েছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুজন স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফ হোসেন কাজল, বিএনপি নেতা কামাল হোসেন, দরিকান্দি ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, গকুলনগর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজান মিয়া, বিএনপি কর্মী জেকি সরকার, অন্তু সরকার, জামিউল সরকার প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available