বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুরের গ্রাম পুলিশ উত্তম রায়কে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীনুর রহমান চৌধুরী। গুরুতর আহত উত্তম রায় বর্তমানে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর প্রতিবাদে ২৫ আগস্ট রোববার বেলা ১১ টার সময় বীরগঞ্জ থানা চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন। এসময় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
তারা অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ঢেপা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন। ২৪ আগস্ট শনিবার বেলা ১১ টার দিকে সহকারী কমিশনার ভূমি ও পৌর প্রশাসক দিপংকর বর্মন বালু ঘাটে গিয়ে বালু উত্তোলন নিষেধ করেন। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর শাহীন চেয়ারম্যান বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। ফলে কাশিপুর গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেল বেলা বালু উত্তোলনে বাধা দেয়। এক পর্যায় একটি বালু বোঝাই ডাম্পট্রাক আটক করে গ্রামবাসী। শুরু হয় সংঘর্ষ। সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান ও ফেরদৌস আলী মেম্বার লোকজন নিয়ে বালুঘাটে উপস্থিত হয়। ডেকে নেয় গ্রাম পুলিশদের। চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশকে প্রতিবাদী জনগণের উপর লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দেন। গ্রাম পুলিশেরা তার হুকুম অমান্য করায় চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন চৌধুরী নিজেই জনগণের উপর চড়াও হন এবং গ্রাম পুলিশ উত্তম রায়কে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। গুরুতর আহত উত্তম রায় এখন বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন।
মানববন্ধনে তারা ওই ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের ও দ্রুত চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভাটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহীর বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী বলেন, এখানে দু’ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, এক ফৌজদারি ও দুই আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। কাজেই যত দ্রুততম সময় তদন্ত করে আমি এর ন্যায় বিচার করব।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহীন চৌধুরীর সাথে অনেকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available