মো. জসিম জনি, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে একটি ব্রিজ অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে। ব্রিজের আর্তনাদে দুই পাড়ের কয়েক হাজার এলাকাবাসী কস্ট পাচ্ছেন। ব্রিজকে দড়ি দিয়ে কিছুদিন বেঁধে রাখলেও তাও খুলে গেছে।
গত ১৫ দিন ব্রিজের হাল এমন হলেও উপজলা এলজিইডি থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মানুষ লাফিয়ে ব্রিজ পাড় হলেও যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ব্রিজটি যেকোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার এক শিশু ব্রিজ পাড় হতে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও তার মাথায় আঘাত লাগে।
লালমোহন সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রাস্তার মাথায় খালের উপর অবস্থিত এই ব্রিজটি ওপাড়ে চরভূতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডকে সংযুক্ত করেছিল। দুই ইউনিয়নের মানুষ ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় ২০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের নিচে ঢালাই পিলার না করে লোহার পাত দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল।
সেই পাত সরে গিয়ে গত ১৫ দিন আগে ব্রিজের একটি গার্ডার পড়ে যায়। এতে দুই গার্ডারের মধ্যে বিশাল ফাঁকা হয়ে যায়। প্রথম দিকে দুই গার্ডারের রেলিংয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল এলাকাবাসী। এতে জোয়ার-ভাটায় টান পড়ে অপর প্রান্তের গার্ডারও সরে আসে। একারণে দড়িও খুলে দেওয়া হয়।
এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই পাড়ের চলাচল করে মানুষ। লাফিয়ে ব্রিজ পাড় হতে হয় তাদের। সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পাশেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্কুলে ও কোচিংয়ে আসা যাওয়া করতে শিশুদের কস্ট হচ্ছে।
একইভাবে এই ব্রিজ পাড় হতে কস্ট পাচ্ছে নারী ও বৃদ্ধরা। ব্রিজটি পাত সড়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় এই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরো বন্ধ হয়ে গেছে। অটোরিকশা, মোটরসাইকেলকে অন্য পথ দিয়ে ঘুরে যেতে অনেক সময় লাগে। ভাড়াও বেশি খরচ হয়।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজের ধেবে যাওয়া গার্ডার প্রতিদিন আরও নিচে নেমে যাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে এটি পুরোপুরি ধ্বসে পড়তে পারে। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। কারণ মানুষ এখনো ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পাড় হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত এখানে বিকল্প ব্রিজ চান। একই সাথে দ্রুত সময়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য নতুন প্রজেক্টে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে। এ অবস্থায় বিকল্প কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available