লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের দুর্গম এলাকাসহ বেশ কিছু বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবন্দিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না। খাবার পানি ও খাদ্যসংকটে হাহাকার করছেন আশ্রয়কেন্দ্রসহ পানিবন্দি এলাকার মানুষ। অনেকেই ত্রাণ সহায়তার আবেদন করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায়।
এদিকে পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় উদ্ধারকারী ও ত্রাণ সহায়তাকারীরা দুর্গম এলাকাগুলোতে যেতে পারছেন না বলে জানা গেছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশী বন্যা কবলিত ও দুর্গম এলাকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলী, চরশাহী, উত্তর জয়পুর, মান্দারী, দত্তপাড়া, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি, তেওয়ারীগঞ্জ, ভবানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের রহমতখালী খাল সংলগ্ন লামচরী, সমসেরাবাদ, বাঞ্চানগর, মধ্য বাঞ্চানগর, মজুপুর এলাকা, চররুহিতা, পার্বতীনগর, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, চরকাদিরা, রামগতির চরপোড়াগাছা, চরবাদাম, রামগঞ্জের লামচর, কাঞ্চনপুর, চন্ডিপুর, ভাটরা, ভোলাকোট, রামগঞ্জ পৌরসভা, ভাদুর, করপাড়া, দরবেশপুর, রায়পুরের সোনাপুর, কেরোয়া, চরপাতা, বামনী, চরমোহনা, রায়পুর, দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়ন ও রায়পুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা।
এরমধ্যে দিঘলী, চরশাহীসহ দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। খাদ্য সহায়তা প্রদানকারী স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত নৌকারও প্রয়োজন।
এদিকে বন্যা কবলতিদের যেকোনো সহায়তায় জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লক্ষ্মীপুরের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও বন্যার্তদের সর্বাত্মক সহায়তায় সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে জানান তারা।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, লক্ষ্মীপুরে ৭ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৩০ হাজার মানুষ। বন্যা দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৭০০ মেট্রিকটন চাল এবং নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০৯ মেট্রিকটন চাল ও ১৬ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় এই বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরও ৩০ লাখ টাকার চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মাজিদুল হক রেজা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেজাই রাফিন সরকার, সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবি সিদ্দিকী প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available