রাঙামাটি প্রতিনিধি: কাপ্তাই হ্রদের ধারণক্ষমতার একেবারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে পানির উচ্চতা ১০৮.৯২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক পানি। এছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
এর আগে ২৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮.৮৪ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই কাপ্তাই বাধেঁর ১৬টি জলকপাট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গিয়ে নিন্মাঞ্চলে বাস করা এক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে। জেলা সদর ও আরও ৬টি উপজেলার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজ জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ১৫ হাজার কৃষক চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে আক্রান্ত পরিবারগুলো এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেড়ফুট খুলে দিয়ে ১৬টি জলকপাট দিয়ে দ্রুত পানি ছাড়ছে কর্তৃপক্ষ।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, দেড় ফুট করে গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available