মো. ওসমান গনি ইলি, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: পর্যটন নগরী কক্সবাজারের খুরুশকুলে হচ্ছে দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। জুনে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষে চীনের অর্থায়নে প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৯ শ কোটি টাকা। নবায়নযোগ্য জ্বালালি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে দেয়া হচ্ছে বাড়তি মনোযোগ।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে সৌরবিদ্যুতের পর বায়ু শক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে এবার দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
পরিবেশ বান্ধব বায়ূ বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী, পোকখালী ও পিএমখালী ইউনিয়নে নির্মাণ হচ্ছে ২২টি উইন্ড টারবাইন। যার এক একটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তিন মেগাওয়াট। বর্তমানে প্রকল্পটিতে দেশি- বিদেশি চার শতাধীক শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন।
বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মানিক আহমদ বলেন, কক্সবাজার বায়ূবিদ্যুৎ কেন্দ্র চীন থেকে আমদানি করা ১০০ টন ওজনের ক্রেনে তোলা হচ্ছে ৫০ টন ওজনের টারবাইন। যা ১১০ মিটার লম্বা টাওয়ারের ওপর স্থাপন করা হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প এই বছরের জুন মাস নাগাদ উৎপাদনে যাওয়া আশা প্রকাশ করছেন।
খুরুশকুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে লোডশেডিং সমস্যা থেকে মুক্তির আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা। কক্সবাজার জেলায় বিদ্যুৎতের চাহিদা রয়েছে ১৫০ মেঘাওয়াট। বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৬০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে তা সরাসরি যুক্ত হবে কক্সবাজারের গ্রীড লাইনে। এতে করে সুবিধা ভোগ করবে কক্সবাজারবাসীও।
বায়ু-বিদ্যুৎ প্রকপ্লের পরিচালক, মো. আবদুল কাদের গণি বলেন, ২০২১ সালে ৩১ মার্চ খুরুশকূলের বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি) লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available