পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের প্রায় ৯ মাসের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়ে চেয়ারম্যান মুনতাজ আলী সকল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। পরবর্তীতে ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক চলাকালে বকেয়া বেতন চাওয়াকে কেন্দ্র পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।
এ সময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সৈয়দ মুনতাজ আলী ইউপি সদস্য নাহিদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হলে চেয়ারম্যান সৈয়দ মুনতাজ আলির বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী টেবুনিয়া বাজারের সামসুল হুদা ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে ইউপি সদস্য নাহিদসহ কয়েকজনকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ হামলায় ৫ জন আহত হয়।
তার মধ্যে গুরুতর আহত হন মালিগাছা ইউপি ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নাহিদ মেম্বার ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আলী । এ সময় রক্তাক্ত নাহিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে পাবনা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ সময় আরও আহত হন, নাহিদ, তুহিন ও মাসুদ মেম্বার।
আহত ইউপি সদস্য নাহিদের মা-বাবা এবং বোন এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত নাহিদের বাবা আলহাজ মো. জিন্নাত শেখ।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান্যান সৈয়দ মুনতাজ আলির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমার নামে মামলা হয়েছে জানি। তবে এ হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওরা পরিষদ থেকে চলে যাওয়ার পরে রাস্তায় কে বলা কারা হামলা করেছে আমি জানি না। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রওশন আলী বলেন, মালিগাছা ইউনিয়নের টেবুনিয়ায় ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান্যান সৈয়দ মুনতাজ আলিকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available