• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৭ই কার্তিক ১৪৩১ বিকাল ০৪:২৭:৩৩ (22-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৭ই কার্তিক ১৪৩১ বিকাল ০৪:২৭:৩৩ (22-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

খুলনা শিশু হাসপাতালে কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে দুইজনের পদত্যাগ

১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০২:২১

খুলনা শিশু হাসপাতালে কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে দুইজনের পদত্যাগ

খুলনা ব্যুরো: খুলনা শিশু হাসপাতালে কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন দুইজন কর্মকর্তা। তারা হলেন, খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল-আমিন রাকিব ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা শীলা হালদার। 

এসময় হাসপাতালের কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা গাড়িতে করে তাদের নিরাপদে হাসপাতাল থেকে বের করেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে শিশু হাসপাতালের মূল ফটক আটকিয়ে দেয় কর্মচারীরা। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে তারা ২জন পদত্যাগ পত্র জমা দেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অনুপ কুমার দে’র কাছে তারা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল-আমিন রাকিব ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা শীলা হালদার বিগত দিনে অনেক স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন এ হাসপাতালে। অনেক অনিয়ম এবং দুর্নীতির সাথে তারা জড়িত। তারা সব সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতো। 

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, এ  হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন ২১ আগস্ট। তার ডান হাত হিসেবে কাজ করতো প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাকিব। ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদে কামরুজ্জামান থাকাকালীন সময়ে নানান অনিয়ম দুর্নীতি এবং ভুল চিকিৎসা করেছে অনেক রোগীর। অনেক রোগী মারা গেছেন ভুল চিকিৎসায়। কামরুজ্জামানের স্বেচ্ছাচারিতা এমন পর্যায়ে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো যে, অনেক রোগীকে তার নিজস্ব প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করতে পর্যন্ত বাধ্য করতো। চাইল্ড কেয়ার নামে একটি নিম্ন মানের ক্লিনিকের মালিক তিনি। শেখ বাড়ির আশীর্বাদে কামরুজ্জামান চালিয়েছেন তার চিকিৎসা বাণিজ্য। পরে সরকার পতনের পর পরিবেশ খারাপ দেখে নিজেই পদত্যাগ করেন। ১৫ বছরে এ শিশু হাসপাতালটি দলীয় করেছে তারা। তাদের জুলুমের শিকার হয়েছে অনেক নিরীহ কর্মচারী। 

ডা. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একজন বলেন, তিনি গালমন্দ এবং অপমান অপদস্থ পর্যন্ত করেছেন অনেক কর্মচারীকে। নিম্ন পদের কর্মচারীদের তিনি মানুষ মনে করতেন না। এমনকি এ ডাক্তার চিকিৎসা বাণিজ্য করেছেন একচেটিয়াভাবে। যার ভুক্তভোগী অনেক শিশুর পরিবার। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








ফকিরহাট ভোররাতে গনি মঞ্জিলে চুরি
২২ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৩:২০:১৮


খাগড়াছড়িতে নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত
২২ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৩:১৫:০৫