পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: বিএনপির গাড়িবহরে হামলা ও বেদড়ক পিটিয়ে অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরসহ ৫০ জনের নামোল্লেখ করে আরও ২০/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে চকরিয়া থানায় মামলাটি রুজু করেছেন পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু বক্কর নামের এক বিএনপি নেতা।
মামলার এজাহারে বাদী আবু বক্কর জানান, গত ২৮ আগস্ট বিকেলে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালে ভারতের শিলংয়ে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন থেকে ফেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এর গণসংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সন্ধ্যার সমাবেশ থেকে গাড়িবহর নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পেকুয়ার উদ্দেশ্য ফিরছিলেন। একপর্যায়ে গাড়িবহর চিরিঙ্গা বদরখালী সড়ক পেরিয়ে কেবি জালাল উদ্দীন সড়কের কোরালখালী এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় সাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন সংঘবদ্ধ দল নিয়ে গাড়ির বহরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ সময় তাদের মারধর ও বেদড়ক পিটুনিতে বাদী আবু বক্কর, আহমদ সফি, দিল মোহাম্মদ, তুহিন, উসমান গণি, হুবাইব, মোস্তাফিজুর রহমান আবিদ, আবু সুফিয়ান, আবু ওমর, সাইফুল আজম, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসন, আহমদ হোসন, নুরুচ্ছফাসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী হয়। বর্তমানে আহত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সাহারবিলের কোরালখালী এলাকায় বিএনপির গাড়িবহরে হামলা ও নেতাকর্মীকে মারধরের ঘটনায় এজাহার পাওয়া সাপেক্ষে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available