আলমগীর মানিক, (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নবনির্মিত সংযোগ সেতুই পাল্টে দিয়েছে শহরের অভ্যন্তরেই দুর্গম এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের জীবন ব্যবস্থা। জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া সংযোগ সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
খুব সহসাই এই সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ১২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২২৬ মিটার এবং প্রস্থ ৫.১মিটার।
এক সময় নৌকা কিংবা বোট ছিল মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। নির্মিত নতুন সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ,চিকিৎসা সেবা,শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে হওয়াতে বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু চলছে সাধারণ মানুষের যাতায়ত ও ছোট খাট যানবাহন। এই সেতু নির্মিত হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
যোগাযোগের কোনো মাধ্যম না থাকায় একসময় রাঙ্গামাটি শহরের আসামবস্তী, রাঙ্গাপানি, পুলিশ লাইন সুখী নীলগঞ্জ, হ্যাচারী এলাকায় বসবাসরত হাজারো মানুষকে মূল শহরে আসতে কমপক্ষে ৩০-৪০মিনিট সময় লাগতো। বর্তমানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নবনির্মিত সংযোগ সেতু হওয়ার মাধ্যমে মাত্র কয়েক মিনিটেই মূল শহরে আসতে পারছেন সাধারণ মানুষ। তাই সেতু পেয়ে খুশি দুর্গম এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
১২কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সংযোগ সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলছেন, টেকনিক্যাল বিভিন্ন কারণে ব্রীজটি এখনো সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত করা না হলেও নিয়ম অনুযায়ী যোগাযোগের উপযোগী হলে খুব দ্রুতই তা উদ্বোধনের মাধ্যমে সবার জন্য উন্মক্ত করে দেওয়া হবে।
সংযোগ সেতুটি চালু হলে শহরের হাজারো মানুষের যোগযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা মানুষ তাদের চিকিৎসা সেবাও পাবে খুব সহজে। এসব এলাকার প্রসারিত হবে ব্যবসা বাণিজ্যের। এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available